নারী, আমার অনেক পরিচয়
আমি মা, আমি ভগিনী,
বাঃ বেশ, আমি আনন্দিত।
আমার আরও অনেক পরিচয় আছে।
কবে কোথায় কীভাবে আমার আগমন
তাও বেশ মোটামুটি আমার জানা।
আমার এ-ও জানা নারী এবং পুরুষ
পাশাপাশি এই পার্থিব জগতে আগমন।
তবে কবে থেকে আমার বন্ধী জীবন শুরু
তা অত্যান্ত সঠিক ভাবে জানতে পারিনি।
তবে দাস সমাজ থেকে যে শুরু, তাই আমি
দাসী উপাদি ধারণ করতে পেরেছি।
এরপর আমি গৃহিণী, নর্তকী, বাইজী
আমি বেশ্যা, বেহায়া,খানকী, মাগী, রক্ষিতা
বারভাতারী,মুখরা রমনী,আরও কত কী!
কিন্তু আমিতো আর মানুষ নই!
মানুষ হতে গিয়ে খনার জিহ্বা কর্তন
আমার শরীর ঢাকতে কর দিতে হতো।
আমার জন্য শিক্ষার দার বন্ধ,
আমি পুরুষের ইচ্ছাধীন, পরগাছা।
কারখানায় কাজের সময় হবে বেশি
কিন্তু মজুরি হবে পুরুষের চেয়ে কম।
জীবন ধারনের অধিকার আমার নেই
আমি হয় গৃহিণী, না হয় শ্রমের দাস।
অনেক লড়াই সংগ্রাম করে অনেক
পথ পাড়ি দিয়ে আজ আমি এখানে।
আমার যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছি আমি
কিন্তু আমার যে অবাঞ্ছিত নাম মুছে যায়নি।
ঐ নাম মুছে দেয়ার লড়াই জারি রেখেছি যে আমি
আমি নারী এবং মানুষ এটাই আমার পাওনা।