অমনোযোগী শিশুদের উন্নয়ন বিষয়ক কর্শালার আয়োজন করে ইস্কাটন গার্ডেন হাই স্কুল । ওর্কশপটিতে অংশ নেয় স্কুলের প্রাইমারি সেকশনের সন্মানিত শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
শিশুদের লেখাপড়ায় অমনোযোগীতা একটি প্রাচীন সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি চায় ভুক্তভোগী বাবা-মা ও শিক্ষকরা। কেন শিশুরা অমনোযোগী, মনোযোগীতা ফিরিয়ে আনার উপায় কী? প্রচলিতভাবে শাস্তি দেয়ার মাধ্যমে মনোযোগ ফিরিয়ে আনা কী উপকারী নাকি অপকারী প্রভৃতি বিষয় ছিল ওয়ার্কশপটির মূল প্রতিপাদ্য।
কর্মশালাটির ফাসিলিটেটর ছিলেন কাজী মাহমুদর রহমান (সাইকোথেরাপিস্ট ও বিশেষ শিক্ষক) যিনি ১৯৯৫ সাল থেকে এই বিহ্যাভিয়ার থেরাপি সফলভাবে প্রয়োগ ও এ বিষয়ে শিক্ষক-প্রশিক্ষন প্রদান করে আসছেন। তিনি ওয়ার্শপটিতে বরাবরের মত প্রমান করতে সক্ষম হন যে শাস্তি দিয়ে শিশুদের নিয়ন্ত্রন করা বা মনোযোগ ফিরিয়ে আনার ফল সম্পুসম্পুর্ণ নেতিবাচক। অংশগ্রহনকারীরা সকলে নিজের জীবনের সাথে তুলনা করে একমত হন যে, শিশুদের শাস্তি দেয়ার পার্শ্ব-প্রতক্রিয়া সবসময় নেতিবাচক। কখনও কখনও আত্বহত্যার মত ঘটনা ঘটে। শাস্তির বিকল্প উপায়গুলো নিয়ে কর্মশালায় আলোচনা করা হয়।
শুরুতে জনাব মাহমুদ স্বল্প সময়ে শিশুদের অমমনোযোগীতার কারনগুলো তুলে ধরেন । এরপর তিনি বিহ্যাভিয়ার থেরাপির প্রধান টেকনিক আলোচনা করেন। বিহ্যাভিয়ার থেরাপি হলো একটি কার্যকরী চিকিৎসা-কৌশল যার মাধ্যমে কোন প্রকার শাস্তি না দিয়ে, কষ্ট না দিয়ে শিশুদের কাংখিত আচরন যেমন শেখানো যায় তেমনিভাবে এই থেরাপির মাধ্যমে অনাকাংখিত আচরন পরিত্যাগ করানো যায়। পুরো পৃথিবীর শিক্ষকরা এই থেরাপি নির্ভর।
কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব দুলাল চন্দ্র চৌধুরী । তিনি আশা ব্যাক্ত করেন, ক্রমান্বয়ে স্কুলের সকল শাখার অভিভাবক ও শিক্ষকদের বিহ্যাভিয়ার থেরাপির ট্রেনিং –এর আওতায় আনা যেতে পারে। এধরনের কর্মশালা সরকারের স্কুল সাইকোলোজি কার্যক্রমের সমতুল্য। বিজ্ঞপ্তি