সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষে এখনপর্যন্ত পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় ৩ জন নিহত হয়েছে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আহত কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়। বেলা তিনটার দিকে নগরের মুরাদপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্রধারীরা গুলি ছুড়লে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। নিহত মধ্যে দুজন হলেন মো. ফারুক (৩২) ও মো. ওয়াসিম (২২)। ফারুক ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী এবং ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর বয়স ২৪। তাঁর পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। অন্যদিকে ফারুকের বুকে গুলি লাগে। আহত অন্তত ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হামলা শুরু হলে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি অংশ অলিগলিতে ঢুকে পড়লে সেখান থেকেও খুঁজে বের করে হামলা করা হয়েছে বলে প্রতক্ষদর্শীরা জানান।
এদিকে দুপুরে রংপুর বেরোবির কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের লালবাগ এলাকা থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষে নিহত হন আবু সাঈদ। সাঈদ বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। আহত অবস্থায় ১৫ জন হাসপাতালে চিকীর্ষার জন্য যান বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান।
রাজধানীতে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা কলেজের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় এক যুবক নিহত হন।তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর নাম–পরিচয় জানা যায়নি। প্রতক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় একদল লোক মিলে এক ব্যক্তিকে পেটাতে দেখেছেন। পরে শুনেছেন, সেই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেয়া হয়। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা রামদা, রড, লোহার পাইপ, লাঠি নিয়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর সেখানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে অন্তত চার শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।