চীনের কমিউনিস্ট পার্টি যখন ঘোষণা করলো যে সাম্রাজ্যবাদ ও সকল প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি ‘কাগুজে বাঘ’, তখন অনেক সমাজতন্ত্রীও সাম্রাজ্যবাদকে কাগুজে বাঘ রূপকে প্রকাশের বিরোধিতা করলেন। অনেকে বললেন সাম্রাজ্যবাদকে কাগুজে বাঘ বলার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদকে ছোট করে দেখানো হচ্ছে। অনেকে বললেন এই তত্ত্ব ভয়ের ওপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে। ইতালির এক নেতা বললেন কেবলমাত্র কাঁধের এক ধাক্কাতেই উল্টে দেওয়া যায়, সাম্রাজ্যবাদকে এমনই এক কাগুজে বাঘ বলা ভুল। তারা যদি কাগুজে বাঘই হবে, তবে তাদের হটাবার জন্য এতো কাজ কর্মই বা কেন, এত সংগ্রামই বা কেন?
চীন বিপ্লবের মহানায়ক মাও জবাব দিলেন যে, শত্রুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার জন্য বহু আগে থেকেই, এই ধারণা পোষণ করছি যে রণনীতির ক্ষেত্রে সকল শত্রুকেই আমাদের ঘৃণা করা উচিত, কিন্তু রণকৌশলের ক্ষেত্রে তাদের সর্বতোভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এর আরো অর্থ এই যে, সামগ্রিক বিচারে শত্রুদের আমাদের ঘৃণা করা উচিত, কিন্তু প্রত্যেকটি সুনির্দিষ্ট প্রশ্নে অবশ্যই আমরা তাদের গুরুত্ব দেবো। সামগ্রিক বিচারে যদি আমরা শত্রুদের ঘৃণা না করি তাহলে আমরা সুবিধাবাদের ভুল করবো। মার্কস ও এঙ্গেলস মাত্র দুজন লোক। তা সত্ত্বেও, সেই প্রথম যুগে তারা ঘোষণা করেছিলেন যে পুঁজিবাদ সমগ্র পৃথিবী থেকে হটে যাবে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট সমস্যাবলি এবং বিশেষ শত্রুদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গিয়ে যদি তাদের গুরুত্ব দিয়ে বিচার না করি তবে আমরা হঠকারিতার ভুল করবো।
মাও আরো বললেন, সমগ্র পৃথিবীতে এমন কোনো জিনিস নেই যার দ্বৈত প্রকৃতি নেই (এটাই হল বিপরীতের ঐক্যের নিয়ম।), তেমনই সাম্রাজ্যবাদ এবং সকল প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিরই দ্বৈত প্রকৃতি আছে- তারা একই সময় প্রকৃত বাঘ এবং কাগুজে বাঘ। অতীত ইতিহাসে দাস-মালিক শ্রেণি, সামন্ত-ভূস্বামী শ্রেণি এবং বুর্জোয়া শ্রেণি, প্রত্যেকেই রাষ্ট্রক্ষমতা লাভ করার আগে ও রাষ্ট্রক্ষমতা লাভ করার পরেও কিছু কাল ধরে খুবই উদ্যোগী, বিপ্লবী এবং প্রগতিশীল ছিল, তারা প্রকৃত বাঘ ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিপরীতে স্থাপিত দাস শ্রেণি, কৃষক শ্রেণি এবং সর্বহারা ধাপে ধাপে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে; এই শাসক শ্রেণিগুলো ধাপে ধাপে উল্টো দিকে পরিবর্তিত হয়ে যায়, প্রতিক্রিয়াশীলে পরিণত হয়, কাগুজে বাঘে পরিণত হয় এবং শেষ পর্যন্ত তারা অপসৃত হয়েছে বা অপসৃত হবে। সুতরাং সাম্রাজ্যবাদ ও সকল প্রতিক্রিশীল শক্তিকে দীর্ঘমেয়াদি এবং রণনীতিগত পটভূমিকায় দেখতে গেলে তারা হলো কাগুজে বাঘ। এই ধারণার ওপরই আমাদের রণনীতিগত চিন্তাকে গড়ে তোলা উচিত। অন্যদিকে তারা জ্যান্ত বাঘ, লোহার বাঘ ও প্রকৃত বাঘও বটে, যা মানুষ খেতে পারে। এই ধারণার ওপর আমাদের রণকৌশলগত চিন্তাকে গড়ে তোলা উচিত।
চীনের পার্টি বললো আমাদের কখনোই শত্রুকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়, বরং আমাদের উচিত শত্রুকে গুরুত্বসহকারে দেখা এবং জয় লাভের জন্য যুদ্ধে আমাদের সমস্ত শক্তি কেন্দ্রীভূত করা। যদি শত্রুর শক্তিকে আমরা বাড়িয়ে দেখি এবং সেইজন্য শত্রুকে উৎখাত করার ও বিজয় অর্জন করার সাহস না দেখাই, তাহলে আমরা দক্ষিণপন্থি সুবিধাবাদের ভুল করবো। যদি আমরা প্রত্যেক অংশ ও প্রত্যেকটি সুনির্দিষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পরিচয় না দেই, যত্ন সহকারে অবস্থান পর্যবেক্ষণ না করি, সংগ্রামের কৌশলকে নিখুঁত করে না তুলি, লড়াই এর জন্য আমাদের সকল শক্তিকে কেন্দ্রীভূত না করি, এবং যে সকল মিত্রকে আমাদের পক্ষে আনা উচিত তাদের সকলকে নিজেদের দিকে আনার জন্য মনোযোগ না দেই (মধ্যচাষী, স্বাধীন ক্ষুদ্র কারিগর ও ব্যাবসায়ী, মধ্য বুর্জোয়া, ছাত্র শিক্ষক, অধ্যাপক, সাধারণ সরকারি কর্মচারী প্রভৃতি ) তাহলে আমরা বামপন্থি সুবিধাবাদীদের ভুল করবো।
চীনের পার্টি আরো বললো কমরেড লেনিন আগেই বলেছেন সাম্রাজ্যবাদ হলো ক্ষয়িষ্ণু ও মৃতপ্রায় পুঁজিবাদ। এমনকি লেনিন সাম্রাজ্যবাদকে ‘মৃত্তিকা-পদ বিশিষ্ট অতিকায় দানব’ এবং ‘জুজু’ প্রভৃতি রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছেন। কারণ, তিনি মনে করতেন যে সমাজের নবজাত শক্তিগুলো একদিন সমাজের ক্ষয়িষ্ণু শক্তিগুলোকে পরাজিত করবে এবং জনগণের শক্তিগুলো অবশেষে তাদের বিরুদ্ধে নিয়োজিত শক্তিগুলোকে পরাজিত করবে।
এবার আমরা নিজেদের চারপাশে দৃষ্টি দেই এবং বর্তমানে সবচাইতে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করি। সেটা কি রাষ্ট্রক্ষমতায় অবস্থানকারী জনবিচ্ছিন্ন বর্তমান আওয়ামী সরকার নয়? যেই আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক চর্চার সকল উপাদানগুলো একে একে ধ্বংস করে ক্ষমতায় টিকে আছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংকুচিত করার ফলে তৈরি হয়েছে জবাবদিহির অনুপস্থিতি। জবাবদিহি না থাকার কারণে বড় বড় সিদ্ধান্তের পিছনে জনস্বার্থের বিবেচনার চেয়ে স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন গোষ্ঠীস্বার্থের প্রাধান্য থাকে। যার ফলস্বরূপ আমরা দেখতে পাচ্ছি বেড়ে চলছে বৈষম্য, দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে জনগণের সম্পদ। যেই বাংলাদেশে ধনী হওয়ার হার সবচাইতে বেশি সেখানে বর্তমানে ঋণকরে খাবার কিনছে দেশের ৪ কোটি মানুষ। বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ দেশান্তরি হতে গিয়ে মারা যাচ্ছে। ইউরোপ যেতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়াদের ১২ ভাগই বাংলাদেশি। এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। ১৫ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লক্ষ কোটি টাকা। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের থামাবার যেন কেউ নেই। কারণ তারাই ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা এক ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। যেই বেগুন কৃষকরা ১ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তা শহরের মানুষ ৫০ টাকা কেজিতে কিনতে বাধ্য হচ্ছে। বিশ্ববাজারে যেখানে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ৫২ শতাংশ, দেশে কমানো হয়েছে ১৭ শংতাংশ হরে, যদিও পরে আবার বাড়ানো হয়েছে।
রাজধানীর চারপাশে নদীগুলো শিল্পকারখানার বর্জ্যে দূষিত। সরকার শিল্প কারখানার বর্জ্য থেকে এই নদীগুলোকে রক্ষা করতে অপারগ। করোনাকালে পাট কল, চিনি কল বন্ধ করে অনেক মানুষকে শুধু বেকারই করে দেয়নি সরকার, উপরন্তু বিভিন্ন গ্রুপকে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছে। যার ফলে বর্তমানে সাধারণ জনগণকে দ্বিগুণ দামে চিনি ক্রয় করতে হচ্ছে আর পাটকলগুলো পানির দামে বিভিন্ন কোম্পানির হাতে তুলে দেবার পরিকল্পনা চলছে। বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি হ্রাস করার জন্য প্রতিবছর ৪ বার করে ৩ বছরে মোট ১২ বার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে সরকার। বলা হচ্ছে, আইএমএফের শর্ত অনুসারে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানোর জন্যই এ মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে। অথচ বিদ্যুৎ খাতের জন্য দেওয়া ভর্তুকির ৮১ শতাংশই ব্যয় হয়ে যাচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধে। একদিকে অপরিকল্পিতভাবে অতিরিক্ত সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও উচ্চ হারে কেন্দ্র ভাড়া ধরে চুক্তি করা, অন্যদিকে গ্যাসের মতো স্থানীয় উৎসের জ্বালানি অনুসন্ধান ও উত্তোলনে গুরুত্ব না দিয়ে এলএনজি, তেল ও কয়লার মতো আমদানিনির্ভর জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় পিডিবির ব্যায় ও লোকসান বাড়ছে। এই সরকারের কূটনৈতিক অদক্ষতা ও নতজানু নীতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ সকল সুবিধা আমারদের কাছে থেকে আদায় করে নিলেও অভিন্ন নদীগুলোতে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। সীমান্তে প্রতিনিয়ত মানুষ পার্শবর্তী দেশের সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছে। সরকার নির্বিকার।
সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধা এখনও কল্পনাতেই রয়ে গেছে। কর্তৃত্ববাদী সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না বলে এ ধরনের সরকারগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে না না ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। যার ফলে আমরা দেখতে পাই এতো সব সঙ্কটের মধ্যেও বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কোটি কোটি টাকা ঋণ মৌকুফ করে দেয়া হয়। এরকম সুবিধা পেতে আমরা দেখেছি এস আলম গ্রুপ ও এননটেক্স গ্রুপসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে। বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পগুলোর একটা সাধারণ প্রবণতা হলো প্রকল্পগুলো নির্মাণের সময় ও ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। পরিকল্পনার ত্রুটি, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদি কারণে মেগা প্রকল্পের ব্যয় বার বার বাড়ানো হয়, যে কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক, বিদ্যুৎকেন্দ্র বা মেট্রোরেলের অভিধা জুটছে এসব প্রকল্পের গায়ে।
গ্রামেগঞ্জে সাম্প্রতিক সময়ে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে মাদকের ব্যবহার কারো চোখ এড়াচ্ছে না। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ সীমান্তের ওপারে চলে যাচ্ছে শুধু মাদক আমদামি বাবদ। যখন মাদক ব্যবসায়ী ও আদম পাচারকারীরা সংসদ সদস্যের পদ দখল করে রেখেছে তখন আপনি এই যুব সমাজকে কিভাবে মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্ত করবেন। কারণ শাসক শ্রেণি চায় যুবসমাজ এমন ঘোরের মধ্যে থাকুক যেন চারপাশের অন্যায়-অবিচার তাকে আন্দোলিত না করে। সরকারের দায়িত্বহীন ভূমিকার কারণে রাজধানী শহর সারা বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিচারহীনতা ও আইনের শাসনের অভাবেই চরম সঙ্কট বিরাজ করছে আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায়। যেই শাসকগোষ্ঠীর পরিচালনায় দেশের এই পরিস্থিতি হতে পারে সেই শাসকগোষ্ঠী যে এই দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে তা আর বলার বাকি থাকে না।
কাজে কাজেই আমাদের নেতৃবৃন্দ সঠিক কাজটিই করেন যখন তারা বিভিন্ন সমাবেশে ঘোষণা দেন যে খড়-কুটোর মতো এই সরকারের উড়ে যেতে বেশি বাকি নেই বা স্বৈরশাসক আয়ুব খান কিংবা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উৎখাত হবার কিছুদিন আগেও যেমন টের পায়নি এই সরকারেরও একই পরিণতি হতে যাচ্ছে। অপরদিকে এটাও জরুরি যে যত্ন সহকারে অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে সংগ্রামের কৌশল কে নিখুঁত করে তোলা এবং লড়াই এর জন্য আমাদের সকল শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করা। আমাদের দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করতে হবে যে, সমস্ত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে, তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নাই এবং তাদের উৎখাত করা সম্ভব। জনগণ যে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারে এবং নিজেদের জন্য নতুন জীবন গড়ে তুলতে পারে সেই আস্থা নিজেদের মধ্যে ধারণ করা জরুরি। এই আস্থার অনুপস্থিতি বিপ্লবী সংগ্রাম চালিত করার ব্যাপারে সাহসের অভাবের জন্ম দেয়, বিপ্লবে অনাস্থা নিয়ে আসতে ও জনগণকে বিপথে চালিত করতে সাহায্য করে। আমাদের সকল কর্মকাণ্ড ও তৎপরতার মাধ্যমে জনগণকে বোঝাতে হবে যে সমাজে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্টা করতে পারে কেবল কমিউনিস্টরা। কেননা কমিউনিস্টরা সমাজের নতুন ও উদীয়মান শক্তিগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে, তারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে এবং জনগণের শক্তির ওপর ভর করে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। অপরদিকে প্রতিক্রিয়াশীলরা জনবিচ্ছিন্ন। বর্তমান আওয়ামী সরকার টিকে আছে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সুবিধাবাদী আমলাদের ওপর ভর করে। জনগণের শক্তিকে এমনভাবে সংগঠিত করতে হবে যেন কোনো বাহিনী এই সরকারের পাশে দাঁড়াবার সাহস না দেখায়। ইতিহাস থেকে আমরা জেনেছি যে, ঐতিহাসিকভাবে সকল বিপ্লবী এই জন্যই বিপ্লবে সামিল হয়েছেন যে, সর্বপ্রথমে তারা শত্রুকে ঘৃণা করতে, সংগ্রাম করতে এবং ক্ষমতা দখল করতে সাহস দেখিয়েছেন। ইতিহাসের মোড় ঘোরানো বড় বড় ঘটনাগুলো শুরু হয়েছিল ছোট করেই।