অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক মাস পার করলো। এর মধ্যেই অনেকে জানতে চাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তরের কথা টা কি? তারা আসলে কি চাচ্ছেন? এর কারণ এখন পর্যন্ত তারা সংস্কার কার্যক্রম ও নির্বাচনের একটি রোড ম্যাপ জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন নাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিত্যপণ্যের দাম কমে নি। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি সচল করা সম্ভব হয়নি। গণঅভ্যুথানে আহত অনেকেই সঠিক চিকীর্ষা পাচ্ছেন না। নিহতদের তালিকা এখনো পূর্ণাঙ্গ হয় নাই। গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ব্যাক্তিবর্গের বিচারিক কার্যক্রমে গতিশীলতা দেখা যাচ্ছে না। জুলাই অভ্যুত্থানের পর কর্মহীন লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি মাজারে হামলা হচ্ছে একের পর এক। এরইমধ্যে একজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তার আত্মীয় কে বিশেষ সুবিধায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়োগ প্রদানে ভূমিকা রেখেছেন। এটা ঠিক যে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর সবার প্রত্যাশা অনেক বেশি। কিন্তু আমাদের এই বিষয়টাও উপলব্ধিতে রাখতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা মূলত সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনীতির সাথে তাদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল না। বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা কর্মীরা সরকারে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অপকর্মের সাথে নিজেদের জড়িত করে জনগণের প্রতিনিয়ত বিরাগভাজনে পরিণত হয়েছে, অপরদিকে এটাও ঠিক যে বিরোধী দল গুলোর নেতা কর্মীদের জনগণের মুক্তির জন্য লড়াই করতে গিয়ে অনেক নির্যাতন নিপীড়ন, হামলা মামলা এমনকি খুনের স্বীকার ও হতে হয়েছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সেই ধরণের তিক্ত অভিজ্ঞতা নাই। তাই অনেককেই এখন বলতে শুনি স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর রাজনৈতিক দল গুলো স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দল গুলো নিয়ে একটি জাতীয় সরকারের দাবি কে কেন সামনে নিয়ে আসলো না? স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রামে যে ছাত্র ছাত্রীরা মৃত্যুভয় কে জয় করে রাজপথে নেমে এসেছিলো, যারা নিজের চোখে তাদের সহপাঠীকে গুলি খেয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে দেখেছে, তাদের একজন কে শুনলাম সরকারের দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের দিকে আঙ্গুল তুলে প্রশ্ন করছেন যে আপনারা আইনশৃঙ্খলা কেন ফিরিয়ে আনতে পারছেন না? মনে রাখবেন এই দায়িত্ব পালন করার জন্য আপনাদের জনগণের করের টাকায় বেতন দেয়া হয়। আমাদের তো শ্রেণীকক্ষে যেতে হবে সব দায়িত্ব তো আমরা নিতে পারবো না।
অনেকে জানতে চাচ্ছেন বাংলাদেশ কি ভারতের নিয়ন্ত্রণ থেকে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে? একটা রাষ্ট্র তখনি বহিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ পায় যখন ওই দেশের নিয়ন্ত্রণ ওই দেশের রাজনীতি সচেতন জনগের উপর থাকে না অর্থাৎ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর থাকে না। নিকট অতীতে ভারত কখনোই চায়নি বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকুক। তারা চেয়েছে জনবিচ্ছিন্ন একটি সরকার যারা তার দিকে হেলে থাকবে, তার কথা মতো উঠবে বসবে। আমেরিকায়ও তাই চায়। আমরা একটু মনে করার চেষ্টা করি যখন হাসিনা সরকার আই এম এফ এর কাছ থেকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেবার জন্য তোড়জোড় শুরু করলো। এই ঋণ লাভের প্রত্যাশায় তৎকালীন সরকার ৩০ টি শর্ত মেনে নিতে রাজি হয়। বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিবিদরা বললেন এই ঋণ কেবল জনগণের উপর বোঝা চাবাবে জনগণের তেমন কোনো কাজে আসবে না যখন দেশ থেকে প্রতি বছর ৭ বিলিয়ন ডলারের উপরে পাচার হয়ে যাচ্ছে। লাভ হবে মূলত কিছু কমিশন ভোগী কর্মকর্তাদের। টাকা পাচার রোধ করতে পারলে, খেলাপি ঋণ আদায়ে উদ্যোগী হলে আই এম এফ এর কাছ থেকে এতো শর্তে ঋণ নেবার প্রয়োজন পরে না। জন হপকিন্স ইনস্টিটিউট অব এপ্লায়েড ইকোনমিক্স এর এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখানো হয় যে আই এম এফ থেকে ঋণ নেয়া অর্থনীতিগুলোতে বেকারত্ব আরো বেড়েছে। আই এম এফ এর কাছ থেকে বিগত সরকার ঋণ গ্রহণের পরেই তাদের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে ভর্তুকি কমানোর নাম করে জ্বালানি তেলের দাম বিপুল পরিমানে বাড়িয়ে দিলো। তারপর এমন কিছু নাই যার দাম বাড়ে নি। সাথে বাড়লো পণ্যের উৎপাদন খরচ । অপরদিকে সাধারণ মানুষের আয় বাড়ে নি। সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠলো। এভাবেই ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের আকাঙ্খা পূরণ করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হলো সাধারণ জনগণকে। সব চাইতে বেশি আক্রান্ত হলো শ্রমজীবী জনগণ। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে শ্রমজীবী মানুষ অন্য সময়ের তুলনায় খাবারের মান ও পরিমান কমিয়ে দিলো, বিলাসী দ্রব্যের ব্যবহার কমে গেলো, আমদানি কমে গেলো। ফলে অনেকে কর্মসংস্থান হারালো। নয়া উদারতাবাদের নামে এবং আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী প্রতিষ্টান গুলোর খপ্পরে পরে একদিকে যেমন শিল্প ধ্বংস হচ্ছে অন্যদিকে অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়ছে। আমাদের ভুললে চলবে না সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়েছিল কর্মসংস্থানের দাবিতেই অর্থাৎ সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে। কর্মসংস্থানের অনিশ্চয়তার কারণে যুব সমাজের একটা বড় অংশ বিদিশে পারি জমায়। বেসরকারি চাকরিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা কম, যেকোনো সময় চাকরি চলে যাবার ভয় থাকে। আর বাকিদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে সরকারি চাকরি। সেখানেও কোটা বৈষম্য। সেই বৈষম্য দূর করতেই শুরু হয় আন্দোলন। এবং অবশেষে বহু মানুষের জীবনের বিনিময়ে ও আরো বহু মানুষের পঙ্গুত্ব বরণের বিনিময়ে সরকার পতন। কিন্তু মজার বিষয় ক্ষমতা লাভের কিছুদিনের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকার আই এম এফ এর কাছে ৩০০ কোটি ডলারের ঋণের জন্য আবেদনের পরিকল্পনা করছে। অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী আই এম এফ থেকে পাকিস্তান ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেলে আমরা কেন পাবো না? সমগ্র পৃথিবী আজকে দৈত্যাকার ফিন্যান্স পুঁজিগোষ্ঠীগুলোর বিচরণক্ষেত্র। এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীর উত্থান সহ্য করতে পারছে না। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আজ ক্ষয়িষ্ণু। মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রান্তে তার ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে। পতনের আগে শেষ বারের মতো পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তার প্রভাব বিস্তারে ত্রুটি রাখতে চায় না। ব্রিকস এর প্রভাব তাই মার্কিন নিয়ন্ত্রিত আই এম এফ এর কখনই মেনে নেবার কথা না। আই এম এফ-এর মতো সংগঠন সবাইকে প্রতিযোগিতার কথা বললেও নিজেরা প্রতিযোগিতা পছন্দ করে না। আর্জেন্টিনাকে তারা ব্রিকস এর পথ থেকে সরিয়েছে এবার বাংলাদেশের পালা।
বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার যে তার ক্ষমতা দীর্ঘ সাড়ে পনেরো বছর টানলো তার জন্য তাকে যথেষ্ট হোম ওয়ার্ক করতে হয়েছে। বিগত স্বৈরাচার এরশাদের আমল থেকে সে যেমন শিক্ষা নিয়েছে তেমনি ক্ষমতা অগণতান্ত্রিক উপায়ে ধরে রাখার ব্যার্থতা গুলোও পর্যলোচনা করে সেখান থেকেও শিক্ষা নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করে এগিয়ে গেছে, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অনেকে ধারণা করছে ২০০৭ থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান সরকার অগ্রসর হচ্ছে। জনগণের সামনে এবার যে মুলা তারা ঝুলিয়ে রেখেছে তার নাম সংস্কার। ২০০৭ সালে অধ্যাপক ইউনুস নতুন দল গঠন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু হালে পানি পান নি। এইবার ছাত্রসমাজ কে দিয়ে সেই অপূর্ণতা পূরণ করার পালা। আমেরিকার ফর্মুলা অনুযায়ী একটি রাজনৈতিক শক্তি না দাঁড়ানো অব্দি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
দেশের সকল মানুষ সংস্কার চায়। সকল মানুষ একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ চায়। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বর্তমান সংবিধানে বেশ কিছু প্রগতিশীল ধারা আছে। আমরা দেখেছি হাসিনা সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে সংবিধানের নাগরিক অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করে গেছে। শুধু সংবিধানে প্রগতিশীল ধারা থাকলেই হয়ে না সেটা সমুন্নত রাখার জন্য সচেতন জনগোষ্ঠীও প্রস্তুত করতে হয়। কারণ শেষ বিচারে জনগণই নির্ধারক শক্তি। সমাজে গণতান্ত্রিকতার মাত্রা নির্ধারিত হয় জনগণের ক্ষমতা ও অধিকার কার্যকর করার রূপ ও পদ্ধতি দিয়ে। সংস্কার কে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজন রাজনীতি ও শ্রেণী সচেতন জনগণ, রাজনৈতিক দল। সেই জনগণ প্রস্তুত করার জন্য দরকার সর্বজনীন মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা। তাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিতে ভর্তুকি বাড়াতে হবে, প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে । গ্রামীণ মজুর দের পরিস্থিতি এখন এমন যে তারা প্রত্যেকেই কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্ষুদ্র ঋণের জালে জর্জরিত। সেই ঋণ শোধ করতে তাকে প্রানান্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে, গণতন্ত্রকে নিয়ে ভাববার সুযোগ কোথায় ? দেশের অধিকাংশ মানুষ শ্রমিক কৃষককে সম্পৃক্ত না করে এই দেশে টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব না।
ছাত্ররা যে সকল মতের ও সকল বর্ণের লোক নিয়ে রাজনৈতিক দল করার কথা পরিকল্পনা করছেন তারা কি তাদের দলের শ্রেণী চরিত্রটা উন্মোচন করবে? যেই কর্মসংস্থানের দাবিতে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের সূত্রপাত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা কি জানেন দুই মাস আগের চাইতে বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছাত্র নেতাদের ইস্তেহারে কি সকল নাগরিকের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার কোনো ফর্মুলা আছে? পুঁজিবাদী সমাজবাবস্থায় সেটা কতখানি সম্ভব তারা কি তা জানে? তাদের নয় দফা দাবিতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবার দাবি ছিল, কিন্তু তারা ক্ষমতার অংশ হবার পর এখনো কি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ক্লাস চালু হয়েছে? বিভিন্ন মাধ্যমের জরিপের তথ্য অনুযায়ী ছাত্রদের নেতৃত্বে দল গঠিত হলে সবচে বেশি মানুষ তাদের সমর্থন করবে। বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থা মানুষের জীবন জীবিকাকে যে সঙ্কটে নিমজ্জিত করেছে, তার বাস্তবসম্মত সমাধানের ফর্মুলা যদি তারা দিতে না পারে তাহলে এই জরিপের ফল উল্টে যেতে বেশি সময় নিবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি মাহফুজ আলম। উনার ভাষ্যমতে আমাদের সামনে একটি নতুন সভ্যতা অপেক্ষা করছে। উনি সভ্যতা রাষ্ট্রেরও ধারণা দিলেন। উনার মতে গণজাগরণ মঞ্চ দেশকে বিভক্ত করেছিল। জামাত প্রসঙ্গ টিকিয়ে রাখা জরুরি কিনা সেই প্রশ্নও উনি উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বিদ্যমান ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখে কিভাবে সকল মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব, কিভাবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব সেই বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা এখনো তার কাছ থেকে পাইনি। বাস্তব সঙ্কট কে আড়াল করে অবাস্তব স্বপ্ন দেখানো ভাববাদী প্রবণতা। এই ভাববাদ পরিপুষ্ট হয় এমন সমাজে যেখানে প্রবল কর্তৃত্ববাদী শাসক জবাবদিহিতার তোয়াক্কা না করে স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা জারি রাখে। তাই আমাদের চারদিকে যে ভাববাদী চিন্তার আধিক্য দেখি তারও কৃতিত্ব শেখ হাসিনা কে দিতে হবে।
স্বৈরাচার পতনের পর পরিস্থির উন্নতি আশাব্যাঞ্জক নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চাঁদাবাজদের কেবল হাত বদল হয়েছে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, স্বরাষ্ট্র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা এখনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন নাই। বিগত সরকারের গণহত্যা থেকে শুরু করে সরকার পতনের পর সাম্প্রদায়িক হামলা, আওয়ামীলীগের লোকজনের বাড়িতে লুটপাট, অগিসংযোগ, মাজারে হামলা বন্ধ করতে হলে প্রতিটা ঘটনাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ন্যায়বিচার ছাড়া শান্তি হয় না। দেশে ভারত কিংবা মার্কিন প্রভাবমুক্ত করার একটাই পথ সেটা হলো জনগণের প্রভাব বৃদ্ধি করা। জনগনের অধিকাংশ শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষ। যতদিন না ব্যাপক মেহনতি মানুষ সাংস্কৃতিক মানের একটি নির্দিষ্ট স্তরে উন্নীত হচ্ছে যা রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রিত করার সম্ভাবনা, ইচ্ছা বা যোগ্যতার জন্মদিবে ততদিন টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। তাই বুর্জোয়াদের দ্বারা বিভ্রান্ত ক্ষুদ্রস্বত্ব মালিকদের এবং মোটামোটিভাবে পেটি বুর্জোয়া জীবনব্যবস্থার আওতাধীন লক্ষ লক্ষ মেহনতি মানুষ কে বুর্জোয়াশ্রেণীর আওতা থেকে টেনে বের করে আনতে হবে শ্রমিক শ্রেণীর পার্টিকে।