অবশেষে বিজয় দিবসের দিন প্রধান উপদেষ্টা বললেন ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ এর শুরুর দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে। তার মানে নাও হতে পারে, যেহেতু তিনি জোর দিয়ে বলছেন না হবেই। পরদিনই প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি আবার বললেন ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে যাবে। চার মাস পরেও কর্তা ব্যক্তিদের নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ দিতে না পারা নিয়ে আমরা অনেকেই যথেষ্ট বিরক্ত। নব্বই এর গণ অভ্যুত্থানের পর তৎকালীন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তিন মাসের মধ্যে একটি তুলনামূলক সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল । আশংকার বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তরের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া কিছুটা দুষ্কর। কেবলমাত্র ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ কর্তৃক বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে তত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর তুলনামূলক নির্ঝঞ্জাট ছিল। কিন্তু ধারণা করা হয়, ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর পরাজয় ঘটবে এটা আওয়ামীলীগ টের পায় নি, নয়তো ওই ক্ষমতা হস্তান্তরও এতটা নির্বিগ্ন হতো না। সহস্রাধিক মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এবং আরো অসংখ্য মানুষের পঙ্গুত্ব বরণের মধ্যে দিয়ে জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের ফলে আমাদের প্রত্যাশা ছিল ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে যাতে আর কোনো ঝামেলা ভবিষ্যতে না হয় তার একটা সুরাহা হবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে যেই বিষয়টি সামনে আসছে তা হলো তরুণদের নেতৃত্বে নতুন একটি রাজনৈতিক দল না দাঁড়ানো পর্যন্ত নির্বাচনের দিন তারিখ নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার আগ্রহী নয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে যে সকল সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল তাদের কারোরই লক্ষ্য ছিল না নতুন রাজনৈতিক দল করতে হবে। যদিও অভ্যুত্থানের পর আওয়ামীলীগের অনুপস্থিতি রাজনৈতিক মাঠে একটি শূন্যতার জন্ম দিয়েছে। আন্দোলন চলাকালীন ২৯ শে জুলাই ইত্তেফাক পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজেনা। তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটতে পারে। তখন তার এই কথা শুনে মনে হয়েছিল বর্তমান বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে, তাহলে নতুন দল কেন দরকার? আওয়ামীলীগ ও বিএনপির শাসনামল সাধারণ মানুষকে বিশেষ কিছু দিতে পারে নাই, তাই মানুষ বিকল্প কিছু চাইতে পারে এটা মজিনা আগেই টের পেয়েছিলেন। নাকি তৃতীয় কোনো শক্তি দাঁড় করানোর পিছনে তার গোষ্ঠীগত কোনো স্বার্থ ছিল? গত সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি টিম বাংলাদেশ সফরে আসে। ১৫ সেপ্টেম্বর যুগান্তর অনলাইনের তথ্য অনুযায়ী ইউএসএআইডির ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর অর্থ উপদেষ্টার সাথে বৈঠকের পর বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, এ চুক্তিটি বাংলাদেশের জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক(ইনক্লুসিভ) সমৃদ্ধির জন্য ভূমিকা রাখবে। অঞ্জলি আরো বলেন, তরুণদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে তারা যাতে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে সেদিকে নজর দিচ্ছি।
প্রচলিত ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার যারা সুফলভোগী মূলত তাদের উদ্যোগেই এই ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রতিনিয়ত চলমান। মালিক শ্রেণীর পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো যখন ধারাবাহিক ভাবে ব্যর্থ হয় তখন বিদ্যমান ব্যবস্থা কে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে একই শ্রেণীগত লক্ষ্য ও স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নতুন দলের প্রয়োজন থেকেই কি রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ? জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক দল গঠন করার উদ্দেশ্যে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৭ সালেও ফখরুদ্দিন মঈনুদ্দিন সরকারের আমলে প্রফেসর ইউনুস এর নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল গঠনের একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল কিন্ত সেটা বেশিদূর অগ্রসর হতে পারে নাই। জাতীয় নাগরিক কমিটির আদর্শ উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য আমরা এখনো পাইনি। শ্রেণী প্রশ্নে, জেন্ডার প্রশ্নে, বিভিন্ন ধর্ম ও জাতিস্বত্ত্বার প্রশ্নে তাদের অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের পরিকল্পনা কি- তারা কি এগুলো নিওলিবারেল পুঁজিবাদী পথ অনুসরণ করবেন নাকি অন্য কোন ব্যবস্থা কায়েম করতে চান? বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান কি? এইসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত তাদের কোন ঘোষিত অবস্থান নেই। তাদের বিভিন্ন কর্মসূচিকে সফল করার জন্য সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত তরুণ উপদেষ্টারা তৎপরতা চালাচ্ছে এরকম তথ্য আমরা শুনতে পেরেছি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বিলাসবহুল গাড়িতে বিভিন্ন জেলা সফর ও তাদের নিরাপত্তায় নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজনকে নিয়োগের খবর আমরা সংবাদপত্র ও বিভিন্ন মাধ্যমে দেখেছি। তাই অনেকেই যে এই নাগরিক কমিটি কে কিংস পার্টি বলছেন তার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। নাগরিক কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী পাটওয়ারী পূর্বে এবি পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন। এবি পার্টি মূলত জামায়াতে ইসলামী থেকে বের হয়ে আসা একটি রাজনৈতিক দল। নাগরিক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বে আছেন আখতার হোসেন। আখতার হোসেন ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচনে সমাজসেবা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপদেষ্টা নাহিদ ও সজীব কে সাথে নিয়ে আখতার অক্টোবর ২০২৩ সালে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ নামে একটি ছাত্র সংগঠন সংগঠিত করেছিলেন। রাষ্ট্র-রাজনৈতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠনের কথা বললেও ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র ব্যানারে কোন মতাদর্শের ছাত্ররা সংগঠিত হচ্ছে তা নিয়ে সেইসময় প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের কর্মিদের মধ্যে কিছুটা সন্দেহ কাজ করেছে। পাটওয়ারী ও আখতার উভয়েই বিগত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠকের দায়িত্ব পালন করছেন সারজিস আলম। কিছুদিন আগে কমিউনিস্ট পার্টি ও বাসদের কর্মকান্ড স্থগিতের আবেদন জানিয়ে যে রিড টি হাই কোর্ট এ করা হয় সেটি করেছিলেন সারজিস আলম। সার্জিস পূর্বে ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।
কয়েকদিন আগে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক বললেন হাসিনার বিচারের আগে যারা নির্বাচন চায় তারা জাতীয় শত্রু। নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ আগেও বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রেখেছেন যে আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। বাস্তবে নির্বাচন ও সংস্কার কার্যক্রমকে এবং হাসিনার বিচার প্রক্রিয়াকে পরস্পরের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে তারা নির্বাচন পিছাতে চাচ্ছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য সময় নিয়ে রাজনৈতিক দল দাঁড় করিয়ে পরে নির্বাচনে অংশগ্রহণ। কিন্তু এই বিষয়টি প্রকাশের সৎ সাহস তারা দেখতে পারছে না, আশ্রয় নিতে হচ্ছে ছলনার। যে কোনো ছলচাতুরিকে জনগণ ঘৃণা করে। জনগণ বিগত ১৬ বছর যাবৎ গণতান্ত্রিক চর্চা কে রুদ্ধ করার জন্য আওয়ামীলীগ এর বিভিন্ন অজুহাত শুনেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে জনগণ কোথায় যাবে? আওয়ামীলীগ এর আমলে আমরা দেখেছি জামায়াত শিবিরের লোকজন আওয়ামীলীগে যোগদেয়ার সাথে সাথে তাদের সকল কুকীর্তি মাফ করে দেয়া হতো। এখন আমাদের দেখতে হচ্ছে আওয়ামী আমলে নির্বাচিত সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলরদের দলে টানার জন্য নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানাচ্ছে। অথচ তারাই অতীতে বলেছে আওয়ামী আমলে নির্বাচনে অংশগ্রণকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই। রাজনীতিতে নীতিআদর্শের অনুপস্থিতি এবং যেনতেন উপায়ে ক্ষমতায় যাবার প্রবণতা থাকলে যা হয় তাই আমরা চারপাশে দেখতে পাচ্ছি। অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হলেন তাদের স্বপ্নসাধ বাস্তবায়নের দায়িত্ব কেবল শোষিতের পক্ষের রাজনৈতিক দল বা সংগঠনর পক্ষে যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব।
নাগরিক কমিটি মানুষের ধর্মীয় চর্চা ও মুল্যবোধ কে বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের ইতিহাস এই উপমহাদেশে বহু পুরোনো। মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার বিষয়ে শাসকশ্রেণী বরাবরই কৃতিত্বের দাবি রাখে। ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে যে স্বাধীন বাংলাদেশ সেখানে শুরুর দিকে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ফিরিয়ে আনা হয়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সরকার ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে ক্ষমতা কে দীর্ঘায়িত করার জন্য। এই সুযোগেই মৌলবাদী রাজনীতি ও অর্থনীতি পরিপুষ্ট হয়েছে। এবার নাগরিক কমিটি ধর্মের এই প্রভাবটাকেই কাজে লাগাতে চায়। এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে নাগরিক কমিটির অন্যতম কর্মসূচি ছিল তাদের কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল। ঢাকেশ্বরী মন্দিরেও একটি সাধারণ প্রার্থনার কর্মসূচি তারা ঘোষণা করে। যারা জনগণকে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির পাঠ দিচ্ছে প্রতিনিয়ত, যারা দাবি করেন তারা বৈষম্য বিরোধী চেতনা ধারণ করে এবং যাদের ছাত্র সংগঠনের নাম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের বিবেচনাতে আসে নাই বৌদ্ধ, ক্রিস্টান ও অন্নান্য ধর্মালম্বীদের জন্য এমন কি অবিশ্বাসীদের জন্য অনুরূপ কর্মসূচি ঘোষণা করা উচিত ছিল। আমরা জানি, প্রকৃতি ও সমাজের বিকাশ চলে বিপরীত শক্তির, নুতন ও পুরাতনের, বর্ধিষ্ণু ও মুমূর্ষুদের সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে। ইতিহাস এগিয়ে যায়, বিরোধের সমাধান করে। শাসক শ্রেণীর রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের পিছনে মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষ কে বিভক্ত করে তার অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম কে প্রতিহত করা। ৭১ এ অসংখ্য মানুষের জীবনের বিনিময়ে যে ফায়সালা হয়েছিল, শাসকশ্রেণীর বদৌলতে রাজনীতিতে সেই ধর্মের ব্যবহার আবার ফিরে আসলো এবং বর্তমানে তার প্রভাব ব্যপক বিস্তার লাভ করেছে।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতি করার অধিকার সবারই আছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই একটি শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হতে পারে বিদ্যমান প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোকে বিকাশের সুযোগ না দেয়া যেই দলগুলো প্রকৃত অর্থেই সমাজ থেকে সকল ধরণের বৈষম্য নির্মূল করতে চায়। আবার ভিন্ন ভাবে চিন্তা করলে প্রগতিশীল কমিউনিস্ট রাজনীতির দুর্বলতাই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বাস্তবতা তৈরী করেছে। বাস্তবতা হচ্ছে সমাজে গণতান্ত্রিকতার মাত্রা রাজনৈতিক দলের সংখ্যা বহুলতা দিয়ে নির্ধারিত হয় না। বাংলাদেশে যদি আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাত, জাতীয়পার্টির মতো জনভিত্তি সম্পন্ন আরো ১০ টি রাজনৈতিক দল তৎপরতা পরিচালনা করে তবে সমাজের গণতান্ত্রিক মাত্রার সমূহ উন্নতি সম্ভব নয়। কারণ এই সবগুলা দলই মালিক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে, বিদেশি প্রভু শক্তির অনুগত এবং জনগণকে বিভক্ত করে শোষণ অব্যাহত রাখার সকল কৌশলেই সিদ্ধহস্ত। নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে তাদের বাধে না। বাজার সর্বস্ব, মুনাফা কেন্দ্রিক এবং ব্যক্তিমালিকানা ভিত্তিক বিদ্যমান ব্যবস্থা প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে মানব সভ্যতাকে প্রতিনয়ত বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই প্ৰকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও মানবিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের শক্তিশালী হবার বিকল্প নাই। সেই লক্ষ্যে নিজেদের ভুল ও সীমাবদ্ধতাগুলোকে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করে সেগুলো সংশোধন করতে হবে। এই ক্ষেত্রে কোনটা সঠিক সেই শিক্ষাটাও আমরা গ্রহণ করি আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে। কমরেড মাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন- প্রথমত, কঠোর পরিশ্রমকে ভয় করো না এবং দ্বিতীয়ত, মৃত্যুকে ভয় করো না।