শ্রীলঙ্কায় ১৭তম আগাম সাধারণ নির্বাচনে দেশটির নতুন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকের নির্বাচনি জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। ২২৫টি আসনের মধ্যে এনপিপি ১৩৭টি আসন পেয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৬২ শতাংশ বা ৬৮ লাখ ভোট পেয়েছে দলটি।
এর আগের অনূঢ়ার দল বিমুক্তি পেরামুনা (জেবিপি) সংসদে মাত্র ৩টি আসন ছিল। প্রথমে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয় পেলেন, এবারতো সংসদে ভূমিধবস বিজয়ই বলা যায়।
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে, শ্রীলঙ্কার তামিলদের একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন জেবিপির নেতৃত্বাধীন এনপিপি জোট। শুধু তামিলদের না, মুসলমানদেরও ভোট পেয়েছেন তারা। মুসলমান ভোট ও তামিল ভোট কাটতে এমন কোনো মিথ্যা তথ্য মুসলমানদের কিছু নেতা ও তামিল নেতারা ছড়ায়নি এনপিপির বিরুদ্ধে।
এনপিপি সশস্ত্র সংগ্রাম করে আসা পার্টি। পার্টির সেন্ট্রাল কমিটি গোটাটাই প্রায় খোয়া গেছে শত্রু কর্তৃক। ১৯৮৭ সালে পার্টি দ্বিতীয়বার সশস্ত্র সংগ্রাম যখন শুরু করে তখন ভারতীয় বাহিনী শ্রীলঙ্কায় নেমেছে, এই বাহিনী হেলিকপ্টার গানশিপ দিয়ে খুন করেছে জেবিপির কমরেডদের। দু দফায় পার্টির ৭০ হাজার কমরেডকে খুন করেছে শ্রীলঙ্কান সরকারের পেটুয়া বাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী। একদম ধবসের মধ্য থেকে সত্যিকার অর্থে ফিনিক্স পাখির মত উঠে এসেছে জেবিপির কমরডেরা।
শূন্য থেকে শুরু করেও যে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া যায় জেবিপি তার বড় উদাহরণ।